রাষ্ট্রীয় পরিবহণ ব্যবস্থায় ইতিহাস। খরচ বাঁচাতে শুরু হল ডুয়েল ফুয়েল প্রযুক্তির ব্যবহার। জ্বালানির খরচ কমাতে এবারএই ভাবনা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা SBSTC’র। যার জেরে একদিকে যেমন খরচ অনেকটাই কমবে, তেমন কমবে পরিবেশ দূষণও। তবে আপাতত একটি বাসকে ডিজেলের থেকে ‘ডুয়েল ফুয়েলে’ বদলানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কাজ চলছে বেলঘরিয়ার ডিপোয়। পরীক্ষায় সফল হলে ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে সরকারি এবং বেসরকারি, দুই বাসই চালানোর ব্যাপারেই বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এর পাশাপাশি এসবিএসটিসির একটি এবং পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের দু’টি পুরনো বাসকে CNG-তে বদল করার কাজ চলছে। কসবা ডিপোয় এই বাসের ইঞ্জিনের বদল হচ্ছে। সাধারণ ডিজেল চালিত বাসের ইঞ্জিনকে ডুয়েল ফুয়েলে বদলাতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। তবে যদি ডুয়েল ফুয়েলে বাস চালানো যায়, সেক্ষেত্রে এখন যে দূরত্ব যেতে হাজার টাকা খরচ হয়, তা কমে সাতশো টাকা হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল ।
কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি? পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা জানান, বাসের মধ্যে একটা ডুয়েল ফুয়েল কিট লাগানো হবে। সঙ্গে একটা CNG ট্যাংক থাকবে। ট্যাংক থেকে পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস ওই ডুয়েল ফুয়েল কিটে যাবে। সেখানে আসবে ডিজেলও। দুটোর মিশ্রণ সেখানে হয়েই তা ইঞ্জিনে পৌঁছবে। ৬০ শতাংশ ডিজেল ৪০ শতাংশ CNG-র মিশ্রণ হবে। তবে এগুলো সবই পরীক্ষামূলক বলেই জানাচ্ছেন নিগমের কর্তারা। তবে এই বিকল্প উপায় পরিবেশবান্ধব হবে। কারণ, তাতে ডিজেল পুড়বে। ইতিমধ্যেই ৬০টি সিএনজি চালিত বাস আসানসোল-দুর্গাপুরে চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম।
নিগমের এমডি গোদালা কিরণকুমার বলেন, “জ্বালানির খরচ কমাতে পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশেই একটা বিকল্প উপায়ে মানে ডুয়েল ফুয়েল কিটের মাধ্যমে বাস চালানোর পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। তারই কাজ চলছে।” অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।